সংগঠন পরিচালনা : সংগঠনের শাখা প্রশাখাগুলোকে লক্ষ্যানুযায়ী কাজে নিয়োজিত রাখাকে সংগঠন পরিচালনা বলে। সুন্দর পরিচালনার ওপর কাজের সফলতা নির্ভর করে।
দায়িত্বশীল অর্থ
-খলিফা
-খলিফাতুল্লাহ
-খলিফাতুর রাসূল
-খলিফাতুল মুসলেমিন
ইমাম- যিনি সামনে চলেন, নির্দেশ দেন, নির্দেশ মানেন
আমীর- আদেশদাতা/ আল্লাহর নিষেধের ভিত্তিতে আদেশ দান। আদেশ দানের অধিকার আকমাত্র আল্লাহর।
উমর ইবনুল খাত্তাব (রা) বলেন, সংগঠন ছাড়া ইসলাম নেই।
বর্তমান বিশ্বের বিরাজমান পরিস্থিতিতে অনুভূত হচ্ছে সংগঠনের গুরুত্ব, প্রয়োজনীয়তা, প্রভাব।
দায়িত্বশীল : সংগঠন পরিচালনায় বিভিন্ন পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করে থাকেন তাদেরকে দায়িত্বশীল বলা হয়।
A Responsible Person is he, who knows the way, goes the way and shows the way. দায়িত্বশীল ((Responsible Person) lead-to show the way by going first প্রথমে অগ্রসর হয়ে পথ দেখানো। Guidance given by going first or infront.leadership involve guiding or conducting a group of people সাধারণ অর্থে দায়িত্বশীল হচ্ছেন একজন ব্যক্তি মানুষের নানান গুনাবলির সমাবেশের মাধ্যমে একটি দলের বা গোষ্ঠীর কিংবা একটি সংগঠনের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য অর্জনের জন্য সমন্বিত পরিচালনা।
সংগঠন : ইংরেজিতে- Organization, Organ-Body (অঙ্গ ও শরীর)। সংগঠন শব্দের সাধারণ অর্থ সংঘবদ্ধকরণ। এর বিশেষ অর্থ দলবদ্ধ বা সংঘবদ্ধ জীবন। কিছু সংখ্যক মানুষের নির্দিষ্ট কোন লক্ষ্য উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য একদেহ একপ্রাণ রূপে কাজ করার সামষ্টিক কাঠামোকেই বলা হয় সংগঠন। একত্রিত হওয়া, জমায়েত হওয়া, সংগঠিত হওয়া ইত্যাদি। কোন একটি লক্ষ্যকে সামনে রেখে একজন নেতার নেতৃত্বে কিছু লোকের একত্রিত হওয়াকে সংগঠন বলে। একটি সাধারণ লক্ষ্য অর্জনের জন্য যখন এবাধিক ব্যক্তি সমবেত হয় এবং ধারাবাহিকভাবে সেই লক্ষ্য অর্জনের কর্মকাণ্ডে নিয়োজিত থাকে তাকে সংগঠন বলে। Organization is a systematic arrangement of people to accomplish some specific purpose. Every organization is composed of three elements i.e. people, goals and system.
ইসলামী সংগঠন : যে সংঘ আল্লাহর দ্বীন প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করে তাকে ইসলামী সংগঠন বলে। ইকামতে দ্বীনের কাজ আঞ্জাম দেয় যে সংগঠন তাকেই বলা হয় ইসলামী সংগঠন।
ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য : “ইসলামী সংগঠনের লক্ষ্য হচ্ছে আল্লাহপ্রদত্ত জীবন বিধান রাসূলের (সা) পন্থায় মানবসমাজ কায়েম করে আল্লাহর সন্তোষ অর্জন।”
কৌশল (strategy) : বর্তমান তীব্র প্রতিযোগিতাপূর্ণ জগতে সংগঠনের লক্ষ্য অর্জনে বিভিন্ন পরিবেশ, পরিস্থিতি ও প্রতিক্রিয়া দক্ষতার সাথে মোকাবেলা করে সংগঠনের সবটুকু সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর জন্য যে প্রক্রিয়া অবলম্বন করা হয় তাকে কৌশল বলে। The science and art of military command exercised to meet the enemy in combat under advantageous conditions. A organizational strategy is the means by which it sets out to achieve its desired ends (objectives). It can simply be described as a long-term organizational planning.
সংগঠনের বৈশিষ্ট্য : উদ্দেশ্যকেন্দ্রিকতা, সহজবোধ্যতা, যথাযথ কার্য বিভাজন, ভারসাম্যপূর্ণতা আদেশের ঐক্য, আনুগত্য ও শৃংখলা প্রতিষ্ঠা, যোগাযোগ ও সহযোগিতা, নমনীয়তা, কাম্য তত্ত্বাবধান পরিসর।
সংগঠনের উপাদান
১. জনশক্তি
২. নেতৃত্ব
৩. নিয়ম নীতি
সংগঠনের গুরুত্ব :
ষ লক্ষ্য উদ্দেশ্যের দিকে জনশক্তিকে কেন্দ্র্রীভূত করা।
ষ রুহানী দিকের প্রতি গুরুত্ব দেয়া।
ষ মূল ইস্যুকে প্রাধান্য দেয়া (তাওহিদ, রেসালাত, আখেরাত)
ষ পরিবর্তন করার মতো লোক তৈরি (মৌলিক মানবীয় গুণসম্পন্ন)
ষ জনশক্তির আদর্শিক দিকে মোটিভেশন
-আদর্শিক জ্ঞান
-আদর্শের উপস্থাপন
-শৃংখলা প্রতিষ্ঠা
-সৃজনশীলতার বিকাশ
-সহজ সমন্বয়
-সহজ নিয়ন্ত্রণ
-নমনীয়তা অর্জন
-উপকরণের যথাযথ ব্যবহার
The Top 10 Characteristics of a well Organization.: 1. Effective Sharing of Goals 2. Teamwork 3. High worker Morale 4. Offers Training Opportunities 5 Leadership 6. Handles Poor Performance.7. Understanding Risks 8. Adapts to Opportunities and Changes 9 .Clearly Defined Structure 10. Well-Known organization Policies
সাংগঠনিক কাঠামো প্রণয়নে বিবেচ্য বিযয়সমূহ : ১. উদ্দেশ্য ও নীতি নির্ধারণ ২. দক্ষতা ৩. নির্দিষ্টতা ৪. বিশেষজ্ঞতা ৫. ভারসাম্য ৬.সরলতা ৭. নমনীয়তা ৮. আদেশের ঐক্য ৯. ব্যবস্থাপনার পরিসর,
পরিচালনার সাধারণ নীতি
– Well Plan
– Proper distribution
– Supervision
– Proper Analysis & Reporting.
Different types strategy of organization: 1. defensive strategy 2. stability strategy 3.Growth strategy 4. Differentiation strategy 5.Focus strategy 6. Prospector strategy
Fuctonal level strategy of organization :
1. Strategies for initiative change: .a Mass concentrated offensive.b Make a quick showing c. Camel’s head in the tent d. Boring from within.
2. Joint action strategy : a. Strength in unity b.You scratch my back ,i’ll scratch your’s
3Defensive strategy :a.keep on sawing wood .b.counter invasion c.divide and rule
4. Cuations strategy :
5. Negotiation strategy:
6. Timing strategy : a.Strick while the iron is hot b. Things must get worse before they get better c.Time is a great healer.
পরিচালনার কতিপয় দিক :
১. মূল দাওয়াত পেশ করা
২. বর্তমান দুনিয়ার মেীলিক সমস্যাসমূহকে দাওয়াত অস্বীকারের পরিণতি হিসাবে তুলে ধরা
৩. সকল জনশক্তিকে দাওয়াতি কাজে অংশগ্রহণ করানো
৪. টার্গেটভিত্তিক ব্যক্তিগত দাওয়াতি কাজের প্রতি বোশ গুরুত্ব দেয়া
৫. দাওয়াতি কাজের নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবন
৬. দাওয়াতি প্রোগ্রাম সমূহকে আকর্ষণীয়ভাবে বাস্তবায়ন করা
৭. মেধাবী ও স্থানীয় ছাত্রদের টার্গেট নেয়া
৮. স্কুল ছাত্রদের মাঝে দাওয়াতি কাজকে প্রাধান্য দেয়া।
Responsible Person model follow USA Òbe, know, do”that means leader always awareness.
l Be prepared.
l First things firs
l Don’t avoid problems. :
l Maintain focus on your purpose.
সকল জনশক্তিকে কাজ দেয়া যায় কিভাবে?
প্রত্যেক মানুষই যোগ্যতা ও প্রতিভা অনুযায়ী কাজের উপযুক্ত যদি সঠিকভাবে কাজে লাগানো যায়।
ক) মান অনুযায়ী বিন্যাস
খ) যোগ্যতা ও প্রতিভা অনুযায়ী শ্রেণী বিন্যাস
গ) টার্গেট অনুযায়ী কাজের তালিকা তৈরি
ঘ) কর্মবণ্টন।
ঙ) কাজের সুষ্ঠু পদ্ধতি গড়ে তোলা
ছ) সময়মত পদক্ষেপ গ্রহণ করা
পরবর্তী দায়িত্বশীল গড়ে তোলা যায় কিভাবে?
ক) যথার্থ লোক বাছাই
খ) প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দান
গ) বিভিন্ন বিষয়ে জ্ঞান লাভে উদ্ধুদ্ধ করা
ঘ) সাংগঠনিক প্রজ্ঞা সৃষ্টি
ঙ) দায়িত্বশীলের প্যানেল বা চেইন তৈরি করা
চ) কাজ দিয়ে তত্ত্বাবধান
ছ) সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে গড়ে তোলা
জ) পরিশ্রমপ্রিয় হিসেবে গড়ে তোলা
অনেক মতের সমন্বয় সাধন :
ক) চিন্তার ঐক্য সৃষ্টি
খ) মতপ্রকাশের স্বাধীনতা
গ) মতামত, ইনফরমেশন সবার নলেজ রাখা
ঘ) তথ্যের ভ্রান্তি দূর করা
ঙ) একই খাতে উল্লেখযোগ্য তথ্য সরবরাহ করা।
সংগঠন পরিচালনার জন্য মানুষের নিকট সংগঠনকে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করা খুবই জরুরি, তাই সংগঠন পরিচালনার জন্য নিজেদেরকে আকর্ষণীয়ভাবে উপস্থাপন করাকে সংগঠন পরিচালনার উত্তম নীতি হিসাবে গণ্য হবে। এক্ষেত্রে মানুষের নিকট উপস্থাপনের জন্য (ACES) নীতি অনুসরণ করা ভালো।
A= Appropriately
C= Consistence
E= Effectively
S= Specify the Particular Region.
সংগঠন পরিচালনার জন্য আমাদের টিম স্পিরিটকে কাজে লাগাতে এবং সুন্দর টিম তৈরি করা দরকার। টিম তৈরির জন্য আমাদেরকে কতগুলো বিষয় অনুসরণ করতে হবে। নতুবা আমাদের সংগঠন সুন্দরভাবে পরিচালনা করা কঠিন হবে।
Stage of Team Development:
i) Acceptance
ii) Communication
iii) Motivation
iv) Organization
Skill Necessary to Lead:
i) Know yourself
ii) Allow for your wellness
iii) Use your strength
iv) Think systematically creatively conceptually & systemically
v) Be assertive
vi) Be a good listener
vii) Be honest.
সংগঠন পরিচালনার কতিপয় গুণাবলি : ১। প্রশাসনিক যোগ্যতা অর্জন ২। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিক ইসলামীকরণ ৩। নিজের ভাষা ছাড়া আরও দু’টি ভাষার দক্ষতা অর্জন ৪। ব্যবস্থাপনা সংক্রান্ত দক্ষতা অর্জন করা ৫। প্রয়োজনীয় ও উন্নত উপায় উপকরণ সংগ্রহ করা
দায়িত্বশীল বৈশিষ্ট্য : ১ নেতা অবশ্যই জানবেন কখন, কিভাবে, কী করতে হবে। ২ মহান নেতা হচ্ছেন মহান ব্যক্তিত্বের অধিকারী। ৩ ধৈর্য ধারণ ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের প্রবণতা। ৪ সমান অধিকার প্রতিষ্ঠা। ৫ পরিবেশ ও পরিস্থিতি পর্যালোচনা। ৬ জ্ঞানের রাজ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন। ৭ দলীয় কারণে প্রচণ্ড আবেগ। ৮ শৃঙ্খলা বিধানের যোগ্যতা। ৯ পরিস্থিতি বিশ্লেষণ। ১০ ক্ষমা করা। ১১ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মীবাহিনী গঠন। ১২ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার। ১৩ বক্তৃতায় পারদর্শিতা অর্জন। ১৪ দূরদর্শিতা ও মনোবল। ১৫ অন্যকে বোঝার কৌশল।
ইসলামী সংগঠনে নেতৃত্বের কাঠামো : সাহাবীগণ আল্লাহর রাসূলের কাছে প্রশ্ন করেছিলেন তার উত্তরে রাসূল (সা) বলেছিলেন :
“তোমরা যদি আবু বকরকে আমীর বানাও তাকে পাবে শক্তিধর আমানতদার এবং আল্লাহর ব্যাপারে যেকোনো দুর্নাম রটনা কারীর পরোয়া করেবে না।
আর যদি আলীকে আমীর বানাও- আমার মনে হয় না তোমরা তা করবে- তাহলে তাকে পাবে পথপ্রদর্শনকারী ও পথপ্রদর্শিত ব্যক্তি। সে তোমাদেরকে সঠিক পথে চালাবে। (মুসনদে আহামদ)
এখান থেকে দু’টি মূলনীতি পাওয়া যায়Ñ
ষ আমীর একজনই হবেন। কমান্ডিং পজিশন একজনকে দেয়া হবে।
ষ স্বাধীন মতামতের ভিত্তিতে একজনকে আমীর নির্বাচিত করে নেবেন।
সংগঠন শৃংখলার উপাদানসমূহ :
১. আনুগত্য ২. পরামর্শ ৩. এহ্তেসাব ৪. পারস্পরিক সম্পর্ক
বর্তমান প্রতিযোগিতার যুগে সংগঠন পরিচালনা করা এত সহজ কাজ নয়, সংগঠন পরিচালনা করতে আমাদেরকে অনেক বেশি টেকনিক অনুসরণ করতে হবে। তাই পরিচালনা করতে হলে বাহ্যিকভাবে কতগুলো বিষয় মোকাবেলা করতে হবে।
P= Political (Current and potential influences from political pressures)
E= Economic (The local, national and world Economy factor)
S= Sociological (The ways in which a society can affect organization)
T= Technological (The effect of new and Emerging Technology)
L= Legal (The effect of nation and world legislation)
E= Environmental (The local, National and world Environmental issues)
গভীরভাবে পরিবেশ পর্যালোচনা করলে সংগঠনের কতগুলো উপকরণ গভীরভাবে চিন্তা গবেষণা করা দরকার-
OSEFHPM
l Organizational opportunities.
l Solution.
l Execution plan.
l Financial Engine.
l Human capital.
l Potential Return..
সংগঠন অভ্যন্তরীণ পরিবেশ পর্যালোচনা করার কতগুলো অভ্যন্তরীণ পরিবেশ চিন্তা করতে হবে। তা ছাড়া সংগঠনের মান প্রথম category তে নেয়া যাবে না, সংগঠনকে নিয়ে চিন্তাভাবনা করার জন্য প্রতিযোগিতামূলক পরিবেশে নিজেকে খাপ খাওয়াতে চাইলে অভ্যন্তরীণ মান সংস্করণ ও প্রতিযোগিতা মোকাবেলা করার জন্য প্রয়োজন
MOST
M= Mission (Where the organization intends to go)
O= Objectives (The key goal which will help achieve the mission)
S= Strategies (options for moving forward)
T= Tactics (how Strategies are put into action)
সংগঠন পরিচালনায় এবং আরো এক ধাপ নিয়ে যাওয়ার জন্য কতগুলো দিক আমাদেরকে বিবেচনা করতে হবে, যা সংগঠনকে আলোকিত এবং সুন্দর করতে সহযোগিতা করতে আমাদেরকে প্রতিটি ক্ষেত্রে বিবেচনা করতে হবে কতগুলো বিষয় আমাদেরকে সুবর্ণ সুযোগ এবং কতগুলো কাজ আমাদের হুমকি হিসেবে আসতে পারে এগুলো আমাদের বিবেচনা করতে হবে।
SWOT
S= Strengths- what are the advantages? What is currently done well? (e.g. key area best performing activities your organization )
W= weakness- what could be improved? What is done badly (e.g. Key area where you are performing poorly)
O= opportunities- what good opportunities for the organization? (Key area where you competitors are performing poorly)
T= Threats- What obstacles does the organization face? (key area where your competitor will perform well)
সংগঠনের লক্ষ্য অর্জন করতে আমাদের চিন্তাকে কতগুলো বিষয়ে আরো সুদৃঢ় করতে হবে যা সুদূর ভবিষ্যতে আমাদের সংগঠনকে আরো এগিয়ে নেয়া সম্ভব হবে। অনেক বিষয় আছে যা সংগঠনকে আরো গতিশীল ও অগ্রগামী করতে সহায়তা করে এ ক্ষেত্রে ছয়টি element of TATWOE কে বিবেচনা করতে হবে। আমাদের সংগঠনকে বিশ্বমানের চিন্তা করতে হবে, বিশ্বমানে নিয়ে যাবার জন্য নিম্নোক্ত বিষয় চিন্তা করতে হবে।
T= Target the people- who are the beneficiaries of the organization of the highest level organization process and how does the issue affect them?
A= Actors-Who is involved in the situation who will be involved in implementing solution.
T= Transformation process- what process or system one affected by the issue?
W= World View- what is the big picture and what are the wider impact of the issue?
O= Owner-who owns the process or situation being investigated and what role will they play in the solution?
E= Environment constraints- what are the constraints and limitations that will impact the solution of its success?
আমাদের সংগঠনের কাজগুলো হলো যথাযথভাবে পর্যায়ক্রমে গুরুত্ব দিতে আমাদের অবশ্যই জানতে হবে কোন কাজটা আগে গুরুত্ব দিতে হবে এবং কোন কাজটা পরে গুরুত্ব দিতে হবে এবং পর্যায়ক্রমে আমাদের ধারাবাহিক কাজ করতে হবে। এই ক্ষেত্রে MoSCoW Techniques ফলো করতে হবে।
l Must have
l Should have
l Could have
l Would live to
সংগঠন পরিচালনার জন্য সংগঠনের সমগ্র বিষয় সম্পর্কে আমাদের ধারণা থাকতে হবে, বিভিন্ন উৎস সংগ্রহ করতে হবে, যা দ্বারা সংগঠনের বিষয়ে মৌলিক ধারণা পাওয়া যায় এবং সংগঠনের লক্ষ্য মেটানোর জন্য নি¤েœাক্ত বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
l Creating and maintaining the organization architecture.
l Conducting sensibility study.
l Identifying organizational opportunities.
l Preparing the organization case.
l Conducting the initial risk assessment.
সংগঠনের কার্যক্রম পরিচালনায় প্রয়োজন :
পরিকল্পনা গ্রহণ (Planning) Long-tem, short-term.
-কোন অবস্থাতেই অতিরিক্ত Plan না নেয়া
-আবার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও কম Plan নেয়া ঠিক নয়
-পরিকল্পনায় সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য বা টার্গেট নির্ধারণ
পরিকল্পনা বাস্তাবয়ন
-সর্বস্তরের দায়িত্বশীলসহ জনশক্তির Involvement জরুরি
-অলসতা পরিহার/স্বতঃস্ফূর্ত সাড়া/ সবাইকে গুরুত্ব উপলব্ধি করতে হবে/ অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা Avoid করার চেষ্টা করতে হবে/ Plan বাস্তবায়ন করে Rest.
তত্ত্বাবধান
-পরিকল্পনা গ্রহণের পর তদারকি বাড়ানো
-যে ত্র“টি পরিলক্ষিত হবে তা দূর করতে হবে
-মানুষের Mental investigation না করে কাজের আলোকে দুর্বলতা চিহ্নিত করে তা দূর করতে হবে।
Reporting
-এটা পরিকল্পনা বাস্তবায়নের গুরুত্বপূর্ণ অংশ
Report বস্তুনিষ্ঠ ও সঠিক হওয়া দরকার।
-আন্দাজ, অনুমান করে কোনো Reportদেয়া বা নেয়া ঠিক নয়।
-ময়দানেরOriginal চিত্র আসা দরকার
Report পূরণের জন্য কর্মী, সাথী, সদস্য বানিয়ে বিপ্লব হবে না।
-সমর্থক সংখ্যা সঠিক নিরূপিত হওয়া দরকার
Review
-পরিকল্পনা/ Report/ পরিস্থিতির আলোকে প্রয়োজনে Plan review করতে হবে।
একটি সফল ইসলামী বিপ্লবের জন্য :
-সর্বক্ষেত্রে নেতৃত্ব সরবরাহ
Power structure. b. Political Leader c .Social Leader d. Leader in administration
-মজবুত Network
l Informaion, Writer, Journalist, Law year, Social contorl-, Economical Factor, NGO Factor.
মানুষ তাদের দায়িত্বশীলদের যেমনটি দেখতে চায় : ১ উন্নত নৈতিকতা ও নির্মল চরিত্রের অধিকারী জ্ঞানী, ২ প্রজ্ঞাবান ও দূরদৃষ্টিসম্পন্ন ৩ দৃঢ়চিত্ত ও সাহসী ৪ অসাধারণ সততা ও যোগ্যতার অধিকারী ৫ চিন্তাশীল ও উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী ৬ নম্র, ভদ্র, বিনয়ী ও সুমধুর ব্যবহারের অধিকারী ৭ পরিস্থিতি মোকাবেলা ও সঙ্কট ব্যবস্থাপনায় পারদর্শী ৮ ইনসাফ ও ন্যায় বিচারের প্রতীক ৯ অধ্যবসায়ী, সাধক ও পরিশ্রমী ১০ সহনশীল, উদার ও পরিপক্ব।
ইসলামী দায়িত্বশীলদের গুণাবলি : ১ বুদ্ধিভিত্তিক ও মানসিক শক্তি। ২ সমকালীন রাজনীতি ও বিশ্ব পরিস্থিতি সম্পর্কে সচেতনতা। ৩ যোগাযোগের দক্ষতা। ৪ উদ্যোগ ও উদ্ভাবনী শক্তির অধিকারী। ৫ দূরদৃষ্টি ও প্রজ্ঞাবান হওয়া ৬ দৃঢ় সঙ্কল্প ও সাহসিকতা। ৭ নেতা হবেন রহমদিল ক্ষমাশীল। ৮ নেতা হবেন অল্পে তুষ্ট এবং ত্যাগী। ৯ বৈরী শক্তির মোকাবেলায় বিজ্ঞানসম্মত পন্থা উদ্ভাবন। ১০ সময়ানুবর্তিতা। ১১ অগ্রাধিকার জ্ঞান। ১২ সঙ্কট মোকাবেলায় সামর্থ্যবান মুত্তাকি এবং ত্যাগ-কোরবানিতে অগ্রগামী। ১৪ কথা ও কাজের সামঞ্জস্য। ১৫. কল্যাণ কামনা করা। ১৬ ইনসাফ কায়েম করা। ১৭ সকলের প্রতি সমান আচরণ। ১৮ সাংগঠনিক ও অপধফবসরপ অধ্যয়ন ঠিক রাখা।
পরিচালকের অপরিহার্য গুণাবলি :
ষ জ্ঞানের ক্ষেত্রে শ্রেষ্ঠত্ব
-কুরআন ও হাদিসের অন্তর্নিহিত জ্ঞান অর্জন করা
-ইসলাম ও আধুনিক জ্ঞান
-সমসাময়িক পরিস্থিতি
-ঐতিহাসিক ঘটনাবলি
-জনশক্তি ও ময়দান
২. ম্যানেজমেন্ট
-সময়মত কাজ
ষ প্রাধান্যতার আলোকে কাজ নির্ধারণ
ষ ভারসাম্যপূর্ণ
৩. প্রজ্ঞা :
-মনস্তত্ত্ব অনুধাবন
-নিজ কাজের পদ্ধতি ভালোভাবে জানা
-পরিস্থিতি মোকাবেলা (রাজনৈতিক, ক্যাম্পাস, অভ্যন্তরীণ)
-দ্বীনের খুঁটিনাটি বিষয় জানা।
৪. জবাবদিহিতা :
-আল্লাহর নিকট
-সংগঠনের নিকট (জনশক্তি ও দায়িত্বশীলের নিকট)
-নিজের বিবেকের কাছে
৫. আল্লাহর সাথে সম্পর্ক
ষ মৌলিক ইবাদতসমূহ অত্যন্ত খোদাভীতির সাথে পালন
-নফল ইবাদতের প্রতি গুরুত্ব দান (নামাজ, রোজা, অর্থ দান)
-আল্লাহর নিকট দোয়া করা
পরিচালকের অন্যান্য গুণাবলি : ১ পরিশ্রমপ্রিয়তা ২ কষ্টসহিষ্ণুতা ৩ সাহসিকতা ৪ বিচক্ষণতা/দূরদর্শিতা ৫ উদার চিন্তা ৬ স্থিরচিত্ততা ৭ ত্যাগী মনোভাব ৮ নিয়মানুবর্তিতা ৯ বাগ্মিতা ১০ উত্তম ব্যবহার
পরবর্তী দায়িত্বশীল তৈরি : ১ লোক বাছাই (ধারাবাহিকতার আলোকে) ২ নিবিড় তত্ত্বাবধান ৩ ত্র“টি দূরীকরণ ৪ কাজ শেখানো ৫ গ্রহণযোগ্যতা তৈরি ৬ সাথে রেখে কাজ করানো।
দায়িত্বশীলদের ভূমিকা কী হওয়া উচিত :
পরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন ২ জনশক্তির মানোন্নয়ন ও সংরক্ষণ ও বিকাশ ৩ ব্যাপক দাওয়াত সম্প্রসারণ ও গণভিত্তি রচনা ৪ সাংগঠনিক শৃঙ্খলা সংরক্ষণ ও পরিবেশ বিনষ্টকারী কাজ বন্ধ করা ৫ আর্থিক স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ ৬ সর্বপর্যায়ে গতিশীলতা সৃষ্টি।
সংগঠন পরিচালনায় আরও কিছু কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় : ১ উবঃবপঃ করার মানসিকতা পরিহার ২ হুকুমদারি করা ঠিক নয় ৩ স্বৈরাচারী মানোভাব পরিহার ৪ অন্যের মতামতে গুরুত্ব প্রদান ৫ ক্ষতিকর না হলে অন্যের মত গ্রহণ করে উৎসাহ প্রদান ৬ নির্দেশ কমান্ড চোখ রাঙানো ও দারোগাগিরি পরিহার ৭ বদমেজাজ পরিহার ৮ ঋড়ৎসধষ ব্যবহার পরিহার ওহভড়ৎসধষ ব্যবহার ছাড়া লোক তৈরি হবে না ৯ অতিরিক্ত গাম্ভীর্যতা পরিহার ১০ নেতা নেতা ভাব পরিহার
আদর্শ দায়িত্বশীলের মান :
ষ অনুপ্রেরণার উৎসস্থল
ষ নির্ভরশীলতার প্রতীক হওয়া
ষ জনশক্তির আবেগ অনুভূতির মূল্যায়ন
ষ নেতৃত্ব ঝবষবপঃরড়হ এর যোগ্যতা
ষ অন্তর্দৃষ্টির অধিকারী হওয়া
ষ কাজ পরিচালনার যোগ্যতার অধিকারী হওয়া
ষ সময় ব্যয়ের কৌশল
ষ শুধু কাজ নয় কাজের ফলাফলের ওপর নজর রাখা
ষ দুর্বলতা নয়, সবলতার ওপর ভিত্তি
ষ আল্লাহ তায়ালার ওপর পূর্ণ নির্ভরশীলতা
দায়িত্বশীল বা নেতা বানানোর প্রক্রিয়া : দুটি মানদন্ড –
আদর্শিক মানে অগ্রসর ২ অগ্রণী ভূমিকার স্বতঃস্ফূর্ত স্বীকৃতি
আদর্শ দায়িত্বশীলের জন্য প্রয়োজন : ১. আদর্শের সঠিক জ্ঞান : ২. সমসাময়িক পরিস্থিতি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ৩. ঐতিহাসিক ঘটনাবলি সম্পর্কে অবহিত থাকা ৪. জনশক্তি সম্পর্কে সুস্পষ্ট ধারণা ও () ৫. গধহধমবসবহঃ বা ব্যবস্থাপনায় দক্ষ হওয়া ৬. ব্যর্থতার কারণ ও সাফল্যের পন্থা উদ্ভাবনের যোগ্যতা থাকা।
যোগ্য সংগঠকের বৈশিষ্ট্য : ১ আল্লাহর ওপর পরিপূর্ণ আস্থাশীল ২ তিনি হবেন পরিচ্ছন্ন জীবনে অভ্যস্ত : ৩ তার মধ্যে প্রাণচাঞ্চল্য ও গতিময়তা থাকবে ৪ তিনি অন্যদের জন্য প্রেরণার উৎস হবেন ৫ উন্নত নৈতিক চরিত্র ৬ আকর্ষণীয় ও ঈর্ষনীয় আমল ৭ ভবিষ্যতের জন্য স্বপ্ন বা ঠরংরড়হ সৃষ্টি করা ৮ অন্যকে সহজেই প্রভাবিত করার যোগ্যতা বা আপন করে নেয়ার যোগ্যতা ৯ অন্তর্দৃষ্টির অধিকারী হওয়া ১০ জনশক্তির আবেগ অনুভূতির মূল্যায়ন করার শক্তি ১১ শুধু কাজ নয়, কাজের ফলাফলের ওপর নজর রাখা।
উপসংহার : মানুষ ও সংগঠন একে অপরের সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িত। একটি ছাড়া অন্যটি অচল, সংগঠন হলো মানুষের জন্য এবং মানুষ ছাড়া সংগঠনের অস্তিত্ব চিন্তা করা যায় না। মানুষের জীবনের সকল ক্ষেত্রেই সংগঠনের প্রভাব লক্ষ্য করা যায়। আধুনিক প্রতিযোগিতার যুগে সংগঠন পরিচালনা করতে হলে নিজেকে আগে সংগঠন পরিচালনার পদ্ধতি ভালোভাবে জানতে হবে এবং আমাদের সকল জনশক্তিকে প্রশিক্ষণের আওতায় নিয়ে আসা। ডযধঃ উরফ ঃযব গু ডধু আমাদের আন্তরিকতা ও মন দিয়ে সংগঠন পরিচালনা করতে হবে।
মন্তব্য